হোম সকল পোস্টসমূহ ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব – ১১ (Islamic Love story of husband and wife episode – 11)
ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব - ১১

ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব – ১১ (Islamic Love story of husband and wife episode – 11)

প্রকাশক দ্বীনের আলো
প্রকাশিত: সর্বশেষ আপডেট: 0 মন্তব্য 77 জন দেখেছেন

ধারাবাহিক গল্পঃ ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প (Islamic Love story of husband and wife)

বেলা তিনটা করে মাকে সাথে নিয়ে গেলাম তালিমে। মাকে রাজি করাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আমার। যখন নির্দিষ্ট বাড়িতে পৌঁছালাম, আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো, হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছিলো, এক ধরণের অজানা আতঙ্ক হচ্ছিলো। বরাবরই শুনে এসেছি এইসব তালিমে জাল, বানোয়াট, বিদআতি মাসআলার শিক্ষা দেয়, তবুও ভরসা, শায়খ বলেছেন এই তালিম টা নির্ভরযোগ্য।  পাশাপাশি তিন মেয়ে সহ মা আলিমা, আরেক মেয়ে মিশকাতে পড়ছে, বাবা মুয়াজ্জিন, গড়মিল থাকার কথা না।

আল্লাহর নাম নিয়ে দরজায় নক করলাম। পরপর তিনবার নক করতেই খুলে গেলো। আপাদমস্তক ঢাকা একজন এসে সালাম দিয়ে মুসাফাহা করলেন, ভেতরে গিয়ে বসতেই দেখি প্রায় জনা ত্রিশেক নারী, বেশীরভাগ ই আমার বয়সী। এটা ভেবে ভালো লাগলো যে, তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ এখনও আমার রব্বের হিদায়াহর ছায়ায় আছে। আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!!

নিকাবটা খুলবো কিনা তা নিয়ে একটু ইতস্তত করছিলাম। এগিয়ে এলেন সেই আন্টি টি। নিজের নিকাব খুলে আমায়ও নিকাব খুলতে বললেন। গ্লাসে করে পানি এগিয়ে দিলেন পরম আদরে, মুখে প্রশস্ত এক হাসি, ঠিক আমার শায়খের মতন। এক মুহূর্ত ভাবলাম, যারা একটুখানি দ্বীনের পথে চলে, তাদের দেখলেই বুঝি মন ভরে যায়!আমার শায়খ, এই যে পঞ্চাশোর্ধ আন্টি, তালিমের বাকি মানুষগুলো। একরাশ মুগ্ধতা ছেয়ে রেখেছিলো আমায়।

সেদিনের আলোচ্য বিষয় ছিলো “নামাযের গুরুত্ব, স্বলাত আদায়ে উদাসীনতা আর বে নামাযীর শাস্তি”। আমি অবাক হচ্ছিলাম আন্টির উপস্থাপনা দেখে। নামাযের গুরুত্ব বলতে বলতে তার চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছিলো, বে নামাযীর শাস্তি বলার সময় হুহু করে কেঁদে উঠছিলেন তিনি। আশপাশের সবার চোখ ভেজা, এমনকি আমার শাশুড়ি মায়েরও। ওই আন্টিটা যখন বলছিলেন,
“তোমরা কিছু করো না আর না করো, নামায আদায় করো। সময় বয়ে যায়, কে কখন চলে যাব আমাদের আসল বাড়িতে। তখন আমাদের ঝুলিতে একমাত্র আমল ছাড়া কিছু তো থাকবেনা। একমাত্র নামাযই আমাদেরকে হিসাব নিকাশের পর সাকারে যাওয়া থেকে দূরে রাখতে পারবে!!!!!”

আমি মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম। তার বাচনভঙ্গি এমন ছিলো যে আমার অন্তর কেঁপে উঠছিলো। সম্বিৎ ফিরলো আসরের আজান শুরু হওয়ার সময়। একসাথে সবাই আযানের উত্তর দিলাম। আযান শেষে দুআ করলাম। তারপর সবাই হাত তুলে মোনাজাতে দুআ করলাম। মোনাজাতের পর সবাইকে দুটো করে খেঁজুর আর একগ্লাস ঠান্ডা পানি খেতে দেওয়া হলো। ফেরার সময় খেয়াল করলাম মা যিকর করছেন, বিভ্রান্তের মতন এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। সারা রাস্তা আমার সাথে কথা বলেন নি। ঘরে গিয়ে নামায পড়ে কাঁদলেন, অনেক কাঁদলেন। মনের ভেতর তখন কেমন অনুভূতি হচ্ছিলো বলে বোঝাতে পারবো না, এটাই ছিলো আমার উপর, আমার শাশুড়ি মায়ের উপর আমার রব্বে কারীমের নিয়ামত,

সুবহানআল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!আল্লাহু আকবার!!!
যতই দিন যাচ্ছিলো, মা একটু একটু করে দ্বীনের পথে আসছিলেন, বাসায় নামাযের সময়সূচীর চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার থাকা সত্ত্বেও মা একটু পরপর এসে জিজ্ঞেস করতেন,
“এই মেয়ে, দেখো তো তোমার মোবাইলে, নামাযের ওয়াক্ত হলো কিনা”।

আরও খেয়াল করলাম মা চাশতের, ইশরাকের নামাযও পড়ছেন।  সালাতুত তাসবীহ আর তাহাজ্জুদ তো একদমই ছাড়ছেন না। ওয়াক্ত হওয়ার পরও আমি যদি একটু বিলম্ব করতাম নামায পড়তে, মা কড়া গলায় ধমকাতেন। বলতেন, “কি হ্যাঁ? নামায পড়বে না নাকি? ফিরিশতাদেরকে বলিও না যে সংসারের কাজ সামলাতে গিয়ে নামায পড়তে পারোনি। অবশ্য বললেও লাভ হবে না। তাড়াতাড়ি যাও, নামায পড়ো। পরে হাজার আমল থাকলেও যদি এই নামাযের জন্য তোমাকে সাকারে যেতে হয়, তাহলে কিন্তু আমি বেহেশতের কোনও হুরপরির সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিয়ে দিব। ”

মায়ের ধমক শুনে আমি হাসতাম, দ্বীনের পথে প্রথম প্রথম এলে চল্লিশোর্ধ কেউ ও যে ছয় বছরের বাচ্চা মেয়ের মতন শিশু হয়ে যায়, তা আমি স্বচক্ষে এই প্রথমবারের মতন দেখলাম। মাঝেমাঝে উনার আমল করা দেখলে আমারই হিংসা হতো। প্রতিযোগীতা করে আমল শুরু করেছিলাম মায়ের সাথে। সেই অনুভূতিগুলো অন্যরকম, একদম অন্যরকম। হটাৎই একদিন তালিমে “স্ত্রীর অধিকার, স্ত্রীর কর্তব্য” নিয়ে আলোচনা হচ্ছিলো। তীব্রভাবে ঝাঁকি খেলাম যখন আন্টি বললেন,

“জাহেলিয়াত!জাহেলিয়াত!!এটা সম্পূর্ণ জাহেলিয়াত!দেওর ভাবির কাছে মৃত্যুর সমান হওয়া সত্ত্বেও মানুষ ভাবিকে দেওরের মায়ের সমান বলে তূলনা করে। দেওর ভাবির মাঝে কোনও পর্দা নেই, যা তা অবস্থা। তার উপর সমাজের একটা ধারণা হয়েছে বউ শ্বশুড়-শাশুড়ির সেবা করবে, একটু এদিক সেদিক হলে সংসারে অশান্তি থেকে শুরু করে তালাক পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে, যেন এটা ফরজ ওয়াজিব কিছু। আহারে মায়েরা শুনুন, ছেলের বউ আপনাদের জন্য যা কিছু করে, তা একপ্রকার সাদকাহ আর মানবিকতা। এটার জন্য ওরা কিন্তু বাধ্য না। অথচ সমাজের নীতি হলো এমন, শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সেবা করবে ছেলের বউয়েরা, আর নিজের মা বাবা চুলোয়া যাক, তাতে কার কি”……”

আমি খেয়াল করলাম মা সবটুকু কথা যেন গোগ্রাসে গিলছেন। সারা পথ গম্ভীর ছিলেন। আমার শায়খের একটা স্বভাব হলো তিনি এসে আগে মায়ের খোঁজ নেন। মায়ের জন্য এটা সেটা নিয়ে আসেন। মায়ের হাই বিপি, পাশাপাশি ইদানিং মায়ের ডায়াবেটিস সহ আরও এই সেই অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন গিয়ে শায়খ চেক করে আসেন মায়ের ওষুধ খাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। সেদিন শায়খ আসার আধঘন্টা আগ থেকেই মা ছটফট করছিলেন, বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন। শায়খ ফেরার পরপরই মা উনাকে জিজ্ঞেস করলেন,
–বেটা তুই তো ইসলাম নিয়ে পড়িস অনেক। তুই জানবি নিশ্চয়। শ্বশুড় শাশুড়ির সেবা করা নাকি ফরজ না?

–হ্যাঁ, না ই তো। হাদিসে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে অভিশাপ দিয়েছেন, যার জীবদ্দশায় মা-বাবা কিংবা কেবলমাত্র একজন বেঁচে থাকা সত্ত্বেও যে তাদের সেবা না করে জাহান্নামে যাবে। পাশাপাশি একবার এক লোক, রসূলুল্লাহর কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইলে তিনি ওই ব্যাক্তিকে ঘরে গিয়ে নিজের বাবা মায়ের সেবা করতে বলেছেন। তুমি খেয়াল করো, একবারও কিন্তু শ্বশুড় শাশুড়ির কথা বলেন নি। আসলে মা যার যার বাবা মায়ের খিদমাহ করার দায়িত্ব তার তার।

–তাহলে এই মেয়েটা আমার খিদমত করে কেন?
আমার দিকে ইঙ্গিত করে বললেন মা।
–আমিনা? ও তো তোমাকে ভালবেসে করে, বেশী বেশী নেকি কামাই করে জান্নাতে যাওয়ার জন্য করে।
–কিন্তু ও যদি ওর বাবা মায়ের খিদমত না করে, তাহলে ওর গুনাহ হবে না?
–উঁ, হতে পারে।
–তখন ফিরিশতারা কারণ জিজ্ঞেস করলে নিশ্চয় ও বলবে শাশুড়ির সেবা করতে গিয়ে বাবা মায়ের সেবা করতে পারেনি।
–হ্যাঁ, এটাও বলতে পারে।
–তাহলে শুন, একটা কাজ কর। টেবিল থেকে খাতাটা নে তো। আমি বলছি তুই লিখা শুরু কর।

১.প্রতি মাসে বাবা মায়ের কাছে বড়জোর দুইদিনের জন্য যেতে পারবে। অবশ্য অসুখ বা কোনও সমস্যা থাকলে আরও বেশিদিন বাবার বাড়িতে থাকতে পারে, সমস্যা নেই।
২.প্রতিদিন ফোনে বাবা মায়ের খোঁজখবর নিতে হবে।
৩.প্রতি মাসে তাকে নির্দিষ্ট কিছু টাকা দেওয়া হবে, সেটা দিয়ে বাবা মায়ের জন্য এটা সেটা হাদিয়া কিনে নিবে।
৪.বাবা মায়ের অসুস্থতার খবর শুনলে যত বড় সমস্যার মাঝেই থাকুক ও, বাবা মায়ের কাছে গিয়ে খিদমত করতে হবে।
৫.বাবা মাকে কখনও অসম্মান করে কিছু বলতে পারবেনা।

৬.প্রতিদিন তাদের জন্য দুআ করতে হবে।
৭.উঁ!!!!! মনে পড়ছেনা আর। আপাতত এগুলো থাক। এতটুকু লিখে নিচে লিখ “এসব শর্ত আমি সজ্ঞানে মেনে নিলাম।”, তারপর নিচে ওর নাম লিখ, দুইপাশে সাক্ষীর নাম হিসেবে আমার আর তোর নাম লিখ।
লিখা হলে খাতাটা বাড়িয়ে দিয়ে মা আমার সাক্ষর নিলেন, শায়খের সাক্ষর নিলেন, নিজে সাক্ষর করলেন। তারপর খাতা হতে পৃষ্ঠাটা ছিঁড়ে ভাজ করতে করতে বললেন,

–শুনো মেয়ে, তুমি আবার বলিও না আমার জন্য বাবা মায়ের খিদমত করতে পারো নি। হাশরের দিন কিন্তু তুমি আমাকে কোনওভাবে ফাঁসাতে পারবেনা। আগে নিজের জান্নাত ঠিক করো যাও, বাবা মায়ের খিদমত করো আগে, আমার খিদমত করার জন্য আমার পাঁচ ছেলেই কাফি।
মায়ের কাজকর্ম দেখে শায়খ মিটিমিটি হাসছেন, আমার চোখ ঝাপ্সা হয়ে আসছিলো, মন চাচ্ছিলো গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কিছুক্ষণ কাঁদি। কিন্তু কি একটা জড়তা কাজ করছিলো কে জানে, আমি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিলাম। মা সালাম দিয়ে চলে গেলেন। আমি তখনও ধাতস্থ হতে পারছিলাম না। শায়খ পরম যত্নে আমায় কাছে টেনে নিলেন। থুতনীটা একটু উঁচু করে ধরে বললেন,

–তোমার চোখে হটাৎ হটাৎ পানি কেন আসে আহলিয়া? এখন তো তোমার খুশি হওয়া উচিৎ, এটা তো তোমারই প্রচেষ্টার ফল। তুমিই তো!!!!!
–না না!এটা আমার প্রচেষ্টার ফল না। বরং এটা তো আমার প্রতি আমার রব্বের করুণা, আলহামদুলিল্লাহ!
শায়খ জোড়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন,
–আল্লাহু আকবার!আমিনা!তুমি জানোনা আমি কত সৌভাগ্যবান। আমার রব্ব শুধু আমায় চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী ই দেননি, বরং আমার পরিবারে রহমত ঢেলে দিয়েছেন। মনে হয় একটুকরো জান্নাত দিয়েছেন আল্লাহ তোমায় দেওয়ার মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ!!সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!

আমি লজ্জা পেয়ে উনার বুকে মুখ লুকালাম। উনি নন, বরং আমিই তো সৌভাগ্যবতী, যে কিনা এত পরহেজগার কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। উনি আচমকা বলে উঠলেন,
–এই আমিনা, উঠো তো, খিদা পেয়েছে আমার। আমি ভাত বাড়ি, তুমি গ্লাসে পানি ঢালো, দুটো খেঁজুর বের করে নাও। তাড়াতাড়ি করো।
আমি মৃদু হেসে উঠে পড়লাম, এটা তো সেই প্রথম দিন থেকেই রুটিন হয়ে গেছে। একদিন উনি ভাত বাড়বেন, আমি গ্লাসে পানি ঢেলে খেঁজুর নিয়ে আসবো, আরেকদিন আমি ভাত বাড়বো, উনি গ্লাসে পানি ঢালা আর খেঁজুর নিয়ে আসার কাজ করবেন।

খাওয়া শেষে একদিন আমি প্লেট বাটি ধুবো, উনি বিছানা করবেন, আরেকদিন উনি ধোয়ার কাজ করবেন, আমি বিছানা করবো। এখন আমরা প্রায়ই একই প্লেটে খাই, একই গ্লাসের একই পাশে মুখ লাগিয়ে পানি খাই। রসূলুল্লাহকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে তিনি সবসময়ই এগিয়ে।
ইনশাআল্লাহ চলবে!!!!!

উপসংহার

এটি একটি ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প, যারা ইসলামিকভাবে তাদের বিবাহিত জীবনকে গড়ে তুলেছে। যদি আমাদের ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব – ১১ (Islamic Love story of husband and wife episode – 11) গল্পটি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করুন। ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব – ১১ (Islamic Love story of husband and wife episode – 11) গল্পটির ধারাবাহিকতা অনুসরন করতে ইসলামিক স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প ১২টি পর্ব (Islamic Love story of husband and wife 12 part) পোস্টটি আলোকপাত করুন।

অনলাইন কোরআন ও হাদিসসমূহের লিঙ্ক বাংলা হাদিস বিডি

আপনার আরোও পছন্দ হতে পারে

আপনার মতামত দিন

* এই ফর্মটি ব্যবহার করে আপনি এই ওয়েবসাইট দ্বারা আপনার ডেটা সংরক্ষণ এবং পরিচালনার সাথে সম্মত হন।

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকিজ ব্যবহার করে। আমরা ধরে নেব যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি চাইলে অপ্ট-আউট করতে পারেন৷ গ্রহণ করুন আরও পড়ুন